বর্ণ প্রথা শ্রী ভগবানের সৃষ্টি। কিন্তু তিনি তা গুণ কর্ম অনুসারে
নির্ণয় করতে বলেছেন , বর্তমান হিন্দু সমাজের রীতি অনুসারে জন্ম অনুসারে
তা নির্ণয় করতে বলেন নি। বেদ বা গীতায় জন্মসুত্রে বর্ণ নির্ণয়ের পক্ষে
কোনও স্পষ্ট নির্দেশ -ও নেই ।
হিন্দু সমাজের ব্যবহারিক জগতের বিধি বিধান দেশ কাল পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়। এমন -ই এক সামাজিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সময় কিছু মানুষ জন্মানুসারে বর্ণ নির্ণয়ের প্রথা সুরু করেন। যারা সুরু করেছিলেন বা যারা কঠোর ভাবে তা মানতেন ,তাঁরা কেউ কেউ সুবিধাবাদি হলেও, সবাই খারাপ ছিলেন না। সুবিধাবাদী লোক গুলো ছাড়া বাকী যারা এই প্রথার প্রবর্তক ছিলেন তাঁরা আধুনিক অর্থনীতির ”শ্রম বিভাজন ” নীতি প্রচলন করে সমাজ থেকে বেকারি উতখাত করতে চেয়েছিলেন।
আশা করা গেছিল যে এর ফলে এক-ই পেশার মানুষের সন্তান সেই পেশায় দক্ষতা সহজেই পিতা ও পরিবার থেকে সিখে নেবে। পরিবার এক্ষেত্রে প্রসিক্ষন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এর সাথে আধ্যাত্মিকতার কোনও অনিবার্য সংযোগ নেই। পেশা যাই হোক না কেন , সে ঈশ্বর লাভ করতেই পারেন।কিন্তু কালে সেই উদারতাও বন্ধ হতে সুরু হলে বুদ্ধাবতারে ভগবান বর্ণ , যজ্ঞ , বলি প্রভৃতি প্রথার বিকৃত রূপের নিন্দা করেন।
এই প্রসঙ্গে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে , সারা পৃথিবীতে পুরোহিত শ্রেণী ও শাসক স্রেনি একত্রে অবহেলিত মানুষকে চুটিয়ে শাসন ও শোষণ করেছে , ভারতেও তা হয়েছে। কিন্তু এ দেশের হিন্দু সমাজের ওই শাসক ও পুরোহিত শ্রেণী থেকেই আবার অবতার ও সাধক গন এসে ধর্ম ও দেশ রক্ষা করেছে যা অন্য দেশে বা অন্য রিলিজিওনে প্রায় কখনও ঘটে নি। জন্মসুত্রে শাসক শ্রেণীর কৃষ্ণ বা বুদ্ধ কিম্বা পুরোহিত শ্রেণীর রামানুজ বা চৈতন্য দেব বা রামকৃষ্ণ দেব তাঁদের যুগ হিসেবে যথা সম্ভব হিন্দু ও ভারতীয় সমাজের বৈপ্লবিক সংস্কার করেছেন। তাঁদের অবদানকে তাই স্রদ্ধানত চিত্তে স্বীকার করতে হবে। উচ্চ বর্ণ মানেই তাই নিকৃষ্ট ,মানবতা বিরোধী জীব নয়— এ সত্য ও মানতে হবে। তথা কথিত উচ্চ বর্ণে আবির্ভূত হয়েও এই দিব্য পুরুষেরা বর্ণ ,শ্রেণী , মতের ঊর্ধ্বে তাঁদের জীবন ও আদর্শ কে স্থাপন করেছিলেন। তাঁরা হিন্দু ও ভারতীয় সমাজের যতটুকু সংস্কার করতে পেরেছিলেন, তার পরেও আরও কাজ বাকী রয়ে গেছে। এই প্রজন্মের সকল বর্ণের হিন্দুকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রনবানন্দ মহারাজ যেমন বলতেন যে , সবার আগে চাই হিন্দুতে হিন্দুতে মিলন, তারপর হিন্দু অহিন্দুর মিলন এমনিতেই সুসম্পন্ন হবে।
হিন্দু সমাজের ব্যবহারিক জগতের বিধি বিধান দেশ কাল পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়। এমন -ই এক সামাজিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সময় কিছু মানুষ জন্মানুসারে বর্ণ নির্ণয়ের প্রথা সুরু করেন। যারা সুরু করেছিলেন বা যারা কঠোর ভাবে তা মানতেন ,তাঁরা কেউ কেউ সুবিধাবাদি হলেও, সবাই খারাপ ছিলেন না। সুবিধাবাদী লোক গুলো ছাড়া বাকী যারা এই প্রথার প্রবর্তক ছিলেন তাঁরা আধুনিক অর্থনীতির ”শ্রম বিভাজন ” নীতি প্রচলন করে সমাজ থেকে বেকারি উতখাত করতে চেয়েছিলেন।
আশা করা গেছিল যে এর ফলে এক-ই পেশার মানুষের সন্তান সেই পেশায় দক্ষতা সহজেই পিতা ও পরিবার থেকে সিখে নেবে। পরিবার এক্ষেত্রে প্রসিক্ষন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এর সাথে আধ্যাত্মিকতার কোনও অনিবার্য সংযোগ নেই। পেশা যাই হোক না কেন , সে ঈশ্বর লাভ করতেই পারেন।কিন্তু কালে সেই উদারতাও বন্ধ হতে সুরু হলে বুদ্ধাবতারে ভগবান বর্ণ , যজ্ঞ , বলি প্রভৃতি প্রথার বিকৃত রূপের নিন্দা করেন।
এই প্রসঙ্গে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে , সারা পৃথিবীতে পুরোহিত শ্রেণী ও শাসক স্রেনি একত্রে অবহেলিত মানুষকে চুটিয়ে শাসন ও শোষণ করেছে , ভারতেও তা হয়েছে। কিন্তু এ দেশের হিন্দু সমাজের ওই শাসক ও পুরোহিত শ্রেণী থেকেই আবার অবতার ও সাধক গন এসে ধর্ম ও দেশ রক্ষা করেছে যা অন্য দেশে বা অন্য রিলিজিওনে প্রায় কখনও ঘটে নি। জন্মসুত্রে শাসক শ্রেণীর কৃষ্ণ বা বুদ্ধ কিম্বা পুরোহিত শ্রেণীর রামানুজ বা চৈতন্য দেব বা রামকৃষ্ণ দেব তাঁদের যুগ হিসেবে যথা সম্ভব হিন্দু ও ভারতীয় সমাজের বৈপ্লবিক সংস্কার করেছেন। তাঁদের অবদানকে তাই স্রদ্ধানত চিত্তে স্বীকার করতে হবে। উচ্চ বর্ণ মানেই তাই নিকৃষ্ট ,মানবতা বিরোধী জীব নয়— এ সত্য ও মানতে হবে। তথা কথিত উচ্চ বর্ণে আবির্ভূত হয়েও এই দিব্য পুরুষেরা বর্ণ ,শ্রেণী , মতের ঊর্ধ্বে তাঁদের জীবন ও আদর্শ কে স্থাপন করেছিলেন। তাঁরা হিন্দু ও ভারতীয় সমাজের যতটুকু সংস্কার করতে পেরেছিলেন, তার পরেও আরও কাজ বাকী রয়ে গেছে। এই প্রজন্মের সকল বর্ণের হিন্দুকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রনবানন্দ মহারাজ যেমন বলতেন যে , সবার আগে চাই হিন্দুতে হিন্দুতে মিলন, তারপর হিন্দু অহিন্দুর মিলন এমনিতেই সুসম্পন্ন হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Comment
Emoji