শ্রবণং কীর্ত্তনং বিষ্ণোঃ স্মরণং পাদসেবনম্।
অর্চনং বন্দনং দাস্যং সখ্যমাত্মনিবেদনম্।।
ইতি পূংসার্পিতা বিষ্ণৌ ভক্তিশ্চেন্নবলক্ষণা।
ক্রিয়েত ভগবত্যদ্ধা তন্মন্যেহধীতমুত্তমম্।।
(ভাগবত ৭/৫/২৩-২৪)
অনুবাদঃ- শ্রীকৃষ্ণের নাম ও লীলা শ্রবণ, কীর্ত্তন, স্মরণ, পাদসেবন, অর্চন, বন্দন, দাস্য, সখ্য, আত্মনিবেদন- এই নয়টি লক্ষণযুক্ত ভক্তি, শ্রীকৃষ্ণে অর্পিত হয়ে সাধিত হলে ভগবানের কাছে প্রেমভক্তিমূলক মনোভাব এবং সর্বসিদ্ধি লাভ হয়। আর এভাবেই আমাদের সমস্ত কার্যকলাপে ভগবানকে যুক্ত করার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত শান্তি লাভ করতে পারি।
তাই শ্রীকৃষ্ণ গীতায় (৫/২৯) বলেছেন-
ভোক্তারং যজ্ঞতপসাং সর্বলোকমহেশ্বরম্।
সুহৃদং সর্বভূতানাং জ্ঞাত্বা মাং শান্তিমৃচ্ছতি।।
অনুবাদঃ- আমাকে সমস্ত যজ্ঞ ও তপস্যার পরম ভোক্তা, সর্বলোকের মহেশ্বর এবং সমস্ত জীবের সুহৃদরূপে জেনে যোগীরা জড় জগতের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্ত হয়ে শান্তি লাভ করেন। প্রকৃত শান্তি লাভ করতে হলে, এই শ্লোক থেকে তিনটি সত্যকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে।
প্রথমটি হলো- “ভোক্তারং” অথাৎ তিনি সবকিছুরর পরম ভোক্তা। কিন্তু, আমরা যদি তাঁকে বাদ দিয়ে স্বাধীনভাবে ভোক্তা হতে চাই, তাহলে আমাদের বারবারই হতাশাগ্রস্ত হতে হবে। কারণ, আমাদের ভোগ তাঁর ভোগের উপর নির্ভরশীল। তিনি সন্তুষ্ট হলে আমরাও সন্তুষ্টু হতে পারি। ঠিক যেমন- একটি গাড়ির সকল সুবিধা (এ.সি, মিউজিক প্লেয়ার ইত্যাদি) যে পরিমাণে গাড়ির মালিক ভোগ করেন, সমপরিমাণ সুবিধা গাড়ির চালক ও ভোগ করেন। কিন্তু, গাড়ি চালকের ভোগ স্বতন্ত্র নয়, বরং তা মালিকের উপর নির্ভরশীল।
দ্বিতীয়টি হল ” সর্বলোকমহেশ্বরম্”, অথাৎ এ জগতের স্থাবর ও জঙ্গম সবকিছুর নিয়ন্তা ও মালিক হলেন তিনিই।
এবং তৃতীয়টি হল ” সুহৃদং সর্বভূতানাম্”, অথাৎ তিনি সকলের পরম সুহৃদ বা বন্ধু। এই তিনটি সত্য যদি আমরা মনে রাখি, তাহলে আমরা সকল কাম- বাসনা থেকে মুক্ত হয়ে ভগবানকে ভালবাসতে সক্ষম হব এবং পরিশেষে শান্তি লাভ করতে পারব।
ইতি পূংসার্পিতা বিষ্ণৌ ভক্তিশ্চেন্নবলক্ষণা।
ক্রিয়েত ভগবত্যদ্ধা তন্মন্যেহধীতমুত্তমম্।।
(ভাগবত ৭/৫/২৩-২৪)
অনুবাদঃ- শ্রীকৃষ্ণের নাম ও লীলা শ্রবণ, কীর্ত্তন, স্মরণ, পাদসেবন, অর্চন, বন্দন, দাস্য, সখ্য, আত্মনিবেদন- এই নয়টি লক্ষণযুক্ত ভক্তি, শ্রীকৃষ্ণে অর্পিত হয়ে সাধিত হলে ভগবানের কাছে প্রেমভক্তিমূলক মনোভাব এবং সর্বসিদ্ধি লাভ হয়। আর এভাবেই আমাদের সমস্ত কার্যকলাপে ভগবানকে যুক্ত করার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত শান্তি লাভ করতে পারি।
তাই শ্রীকৃষ্ণ গীতায় (৫/২৯) বলেছেন-
ভোক্তারং যজ্ঞতপসাং সর্বলোকমহেশ্বরম্।
সুহৃদং সর্বভূতানাং জ্ঞাত্বা মাং শান্তিমৃচ্ছতি।।
অনুবাদঃ- আমাকে সমস্ত যজ্ঞ ও তপস্যার পরম ভোক্তা, সর্বলোকের মহেশ্বর এবং সমস্ত জীবের সুহৃদরূপে জেনে যোগীরা জড় জগতের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্ত হয়ে শান্তি লাভ করেন। প্রকৃত শান্তি লাভ করতে হলে, এই শ্লোক থেকে তিনটি সত্যকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে।
প্রথমটি হলো- “ভোক্তারং” অথাৎ তিনি সবকিছুরর পরম ভোক্তা। কিন্তু, আমরা যদি তাঁকে বাদ দিয়ে স্বাধীনভাবে ভোক্তা হতে চাই, তাহলে আমাদের বারবারই হতাশাগ্রস্ত হতে হবে। কারণ, আমাদের ভোগ তাঁর ভোগের উপর নির্ভরশীল। তিনি সন্তুষ্ট হলে আমরাও সন্তুষ্টু হতে পারি। ঠিক যেমন- একটি গাড়ির সকল সুবিধা (এ.সি, মিউজিক প্লেয়ার ইত্যাদি) যে পরিমাণে গাড়ির মালিক ভোগ করেন, সমপরিমাণ সুবিধা গাড়ির চালক ও ভোগ করেন। কিন্তু, গাড়ি চালকের ভোগ স্বতন্ত্র নয়, বরং তা মালিকের উপর নির্ভরশীল।
দ্বিতীয়টি হল ” সর্বলোকমহেশ্বরম্”, অথাৎ এ জগতের স্থাবর ও জঙ্গম সবকিছুর নিয়ন্তা ও মালিক হলেন তিনিই।
এবং তৃতীয়টি হল ” সুহৃদং সর্বভূতানাম্”, অথাৎ তিনি সকলের পরম সুহৃদ বা বন্ধু। এই তিনটি সত্য যদি আমরা মনে রাখি, তাহলে আমরা সকল কাম- বাসনা থেকে মুক্ত হয়ে ভগবানকে ভালবাসতে সক্ষম হব এবং পরিশেষে শান্তি লাভ করতে পারব।
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Comment
Emoji