প্রশ্নঃ- আমাদের জন্ম কখন? পিতার মাধ্যমে যখন মাতৃগর্ভে এলাম তখন, না কি, পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়াটাই জন্ম?উত্তরঃ- আমরা আত্মা। আত্মা হচ্ছে ভগবানের অতি সুক্ষ্ম চিৎকণা। সেই চিৎকণা আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অংশপ্রকাশ মহাবিষ্ণুর দিব্য শরীরে ছিলাম। মহাবিষ্ণু তাঁর সৃষ্ট জড়া প্রকৃতিতে ঈক্ষণ বা দৃষ্টিনিক্ষেপ মাধ্যমে সেই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম চিৎকণাগুলিকে জড় জগতে পাঠালেন।

প্রশ্নঃ- আমাদের জন্ম কখন? পিতার মাধ্যমে যখন মাতৃগর্ভে এলাম তখন, না কি, পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়াটাই জন্ম?উত্তরঃ- আমরা আত্মা। আত্মা হচ্ছে ভগবানের অতি সুক্ষ্ম চিৎকণা। সেই চিৎকণা আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অংশপ্রকাশ মহাবিষ্ণুর দিব্য শরীরে ছিলাম। মহাবিষ্ণু তাঁর সৃষ্ট জড়া প্রকৃতিতে ঈক্ষণ বা দৃষ্টিনিক্ষেপ মাধ্যমে সেই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম চিৎকণাগুলিকে জড় জগতে পাঠালেন।

মহাবিষ্ণুর অংশপ্রকাশ গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুর নাভিপদ্ম থেকে সৃষ্টির প্রথম জীব ব্রহ্মার জন্ম হল। সেই ব্রহ্মা ভগবদনির্দেশে চুরাশিলক্ষ প্রকার জীবদেহ সৃষ্টি করলেন। ব্রহ্মা মন থেকে বিভিন্ন সন্তান সৃষ্টি করলেন। জীবদেহগুলির উপাদন হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম—এ সবই ভগবানের সৃষ্টি। ব্রহ্মা সেইগুলি দিয়ে ভগবানের নির্দেশে দেহ গঠন করেছেন। ভগবানের চিৎকণা আত্মা সেই দেহগুলিতে প্রবিষ্ট হল। এভাবে জীব সৃষ্টি হল। ক্রমশঃ ব্রহ্মা নারী ও পুরুষদেহ সৃষ্টি করলেন এবং মৈথুন মাধ্যমে প্রজাতি বৃদ্ধির পন্থা হল।
পিতৃ শরীরে শুক্রাণুরূপে সূক্ষ্ম জীবনকণা আশ্রয় করে থাকে। সেই শুক্রাণু মাতৃগর্ভে প্রবিষ্ট হয়ে শরীর ধারণ করে। তারপর এক সময় সেই জীব ভূমিষ্ট হয়। তারপর সে বৃদ্ধি পায়, কিছু কর্ম করতে থাকে এবং তার কর্মফল সঞ্চিত হয়। এভাবে একদিন দেহ ক্ষয় হয়ে যায়। তারপর সেই দেহ ছেড়ে জীবাত্মা অন্য দেহ ধারণ করে। সঞ্চিত ভাল-মন্দ কর্মফল ভোগ করবার উদ্দেশ্যে কর্মানুরূপ অন্য কোনও মাতা-পিতাকে আশ্রয় করে নতুন একপ্রকার দেহ ধারণ করে। এইভাবে বারংবার লক্ষকোটি রকমের দেহ ধারণ করা হয়ে থাকে। নতুন নতুন দেহ ধারণ করাকে বলে জন্ম। সেই সেই ক্ষয়শীল দেহ ত্যাগ করাকে বলে মৃত্যু।
সুতরাং মূলতঃ ভগবান থেকে আমরা যখন জড় জগতে পতিত হয়ে জড় দেহ ধারণ করলাম তখন থেকেই আমাদের জন্ম শুরু 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ