প্রশ্নঃ- শ্রীকৃষ্ণকে কেন অামরা পরম পিতারূপে স্বীকার করবো? কেন অন্য কাহকে নহে?


শ্রীকৃষ্ণ দাবি করেন যে, সকল জীব তার সন্তান।
ভগবদ্গীতায় ( ১৪ / ৪) বলা হয়েছে —
সর্বযোনিষু কৌন্তেয় মূর্তয় সম্ভবন্তি যাঃ। 
তাসাং ব্রহ্ম মহদযোনিরহং বীজপ্রদঃ পিতা।।
অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, ” অামি সকল জীবের বীজপ্রদ পিতা। ” সর্বযোনিষু অর্থ হচ্ছে সকল রূপের বা জীবের। কৃষ্ণ হচ্ছেন সর্বত্মা, সকল রূপের, সকল জীবের প্রত্যেকের পরম পিতা। তিনি ভগবদ্গীতায় বলেছেন, অামি সকল জীবের বীজপ্রদ পিতা। বীজ প্রদানের মাধ্যমে পিতা মাতাকে গর্ববতী করেন। তেমনি এই বিশাল জড় ব্রহ্মান্ড মাতারূপে বিবেচিত হয় এবং পিতা হচ্ছেন ভগবান বা কৃষ্ণ, যিনি জীবের বীজ প্রদানের মাধ্যমে তাকে গর্ভবতী করেন। সৃষ্টির সময় তারা এই জড় জগতের সন্তানরূপে অাত্মপ্রকাশ করে। ঠিক যেমন একটি নারী গর্ভবতী হলে শিশু অাত্মপ্রকাশ করে, তেমনি এই জড়জগত ও বীজপ্রদ পিতা দ্বারা গর্ভবতী হয় এবং জীব অাত্মপ্রকাশ করে।
নারী গর্ভবতী হওয়া ব্যতীত অাপনা থেকে কখনোই সন্তান উৎপাদন করতে পারে না। তেমনি, বিভিন্ন রূপে সকল জীবের উৎপাদনের জন্য বীজপ্রদ পিতার প্রয়োজন এবং তিনি হচ্ছেন ভগবান কৃষ্ণ। কৃষ্ণ বলেছেন, অহং বীজপ্রদঃ পিতা — ” অামি হচ্ছি বীজপ্রদ পিতা। “
খ্রিষ্টধর্মে পরমেশ্বর ভগবান কে পরমপিতারূপে স্বীকার করা হয়েছে, ” হে পিতা, অাপনি অামাদের দৈনন্দিন রুটি প্রদান করুন। ” পরমেশ্বর ভগবানকে পরম পিতা বলে স্বীকার করা খুব ভাল। প্রত্যেকেরই তাঁকে অবশ্যই স্বীকার করা উচিত। সেটিই মনুষ্য জীবন। সেটাই মনুষ্য জ্ঞান। সেটাই সাধারণ জ্ঞান যে, ” অামি যদি অামার পিতা দ্বারা উৎপাদিত হয়ে থাকি, এত অসংখ্য জীব তাহলে কোথা থেকে এলো? তারা এসেছে পরম পিতার কাছ থেকে। ” তাঁকে বলা হয় সর্বাত্মা।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ