★★★মহামন্ত্র★★★
--------------------------------
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
কলি যুগের এই মহানাম প্রথম শ্রী চৈতন্য দেব ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এই ঊপমহাদেশে। জাত পাত ভুলে মানুষের মাঝে মানুষের মত বেঁচে থাকার প্রেরণা দিয়েছিল এই মহানাম। এই নামে আজ ৫০০ বছর পরে ও মানুষ প্রানান্ত হয়ে ডাকে ঈশ্বরকে-কিন্তু কি আছে এই নামে? কি এর অর্থ?
এই মহা মন্ত্রে তিনটি শব্দ আছে- সেগুলো হল- হরে, কৃষ্ণ, রাম।
কৃষ্ণ- বা শ্রীকৃষ্ণ- ভগবান বিষ্ণুর যুগাবতার- তিনি আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২৮ সালের ১৯শে জুলাই শ্রাবন মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন-সেই সময়টা ছিল দ্বাপর যুগ। সেই সময় শ্রীকৃষ্ণ মাত্র ৮ বছর বয়সে হত্যা করেছিলেন মহাপরাক্রমশালি অত্যাচারী রাজা কংসকে। এছাড়া ও তিনি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রাক্কালে তৃতীয় পান্ডব অর্জুনকে ৭০০ শ্লোকের এক জ্ঞানগর্ভ ঊপদেশ দেন- যা পরবর্তীতে সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের নিত্যপাঠ্য ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মর্যাদা প্রাপ্ত হয়েছে। তিনি ১২৫ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। এর পর তিনি দেহত্যাগ করেন। তাঁর দেহ ত্যাগের পর দ্বারকা নগরী সমুদ্র তলে ডুবে যায়।
রামঃ রাম ছিলেন ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তিনি জন্মেছিলেন রাজা দশরথের প্রথম সন্তান হয়ে। তিনি পিতৃসত্য পালনের জন্য বনবাসে যান- সেখানে রামের স্ত্রী সীতাদেবীকে রাক্ষসরাজ রাবন জোড় করে তুলে নিয়ে লংকায় চলে যান। রাম আর তাঁর ভাই লক্ষন দুজনে মিলে পবন পুত্র হনুমান সহ আক্রমন করেন লংকা-আজকের শ্রীলংকা। তারপর অত্যাচারী রাবণকে হত্যা করে রাম সীতা দেবীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন রাম রাজ্যে।
হরে- হরে মানে হরণ করা বা হরণ হওয়া। এটা এসেছে হরণ শব্দ থেকে- যার মানে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া। হরে বা হরণ করা ঈশ্বরকে আবাহন করে বলা হয় যেন তিনি মানুষের মাঝে জড়তা কে -কামনা কে-সকল দুঃখ কে হরন করে নিয়ে যান।
এখন পুরো মন্ত্র টা একবার ঊচ্চারন করলে দেখা যায়-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
কৃষ্ণ মানে চিত্তাকর্ষক - রাম মানে মনোহর
তাহলে হরে কৃষ্ণ মানে চিত্তাকর্ষক চিত্ত হরণ করুন- হরে রাম মানে- মনোহর আমার মন হরন করুন।
আর তাই এই হরে কৃষ্ণ নাম এই কলিযুগের মানুষের জন্য মহা নাম।
ব্রহ্ম নারদ পুরানে বলা হয়েছে-
হরি নাম হরি নাম হরির নামিবা কেবলম
কাল নাস্তি ইভা নাস্তি ইভা নাস্তি ইভা গতি অন্যথা
মানে এই কলিকালে হরিনাম ছাড়া কোন গতি জীবের হতে পারেনা।
এই নাম নিলে আমাদের আত্মা র মাঝে এক পরম শান্তি নেমে আসে- আমাদের মন থেকে দূর হয় সকল কর্ম আকাংখা- মনের মাঝে বিরাজ করে শুধুই কৃষ্ণ।
তাই আসেন আমরা সবাই মিলে ছড়িয়ে দেই এই মহা নাম- বিলিয়ে দিই কৃষ্ণ প্রেম এই পৃথিবীর দিকে দিকে। বন্ধুগন এই পোস্টটিকে সর্বাধিক শেয়ার করুন।
--------------------------------
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
কলি যুগের এই মহানাম প্রথম শ্রী চৈতন্য দেব ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এই ঊপমহাদেশে। জাত পাত ভুলে মানুষের মাঝে মানুষের মত বেঁচে থাকার প্রেরণা দিয়েছিল এই মহানাম। এই নামে আজ ৫০০ বছর পরে ও মানুষ প্রানান্ত হয়ে ডাকে ঈশ্বরকে-কিন্তু কি আছে এই নামে? কি এর অর্থ?
এই মহা মন্ত্রে তিনটি শব্দ আছে- সেগুলো হল- হরে, কৃষ্ণ, রাম।
কৃষ্ণ- বা শ্রীকৃষ্ণ- ভগবান বিষ্ণুর যুগাবতার- তিনি আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২৮ সালের ১৯শে জুলাই শ্রাবন মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন-সেই সময়টা ছিল দ্বাপর যুগ। সেই সময় শ্রীকৃষ্ণ মাত্র ৮ বছর বয়সে হত্যা করেছিলেন মহাপরাক্রমশালি অত্যাচারী রাজা কংসকে। এছাড়া ও তিনি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রাক্কালে তৃতীয় পান্ডব অর্জুনকে ৭০০ শ্লোকের এক জ্ঞানগর্ভ ঊপদেশ দেন- যা পরবর্তীতে সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের নিত্যপাঠ্য ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মর্যাদা প্রাপ্ত হয়েছে। তিনি ১২৫ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। এর পর তিনি দেহত্যাগ করেন। তাঁর দেহ ত্যাগের পর দ্বারকা নগরী সমুদ্র তলে ডুবে যায়।
রামঃ রাম ছিলেন ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তিনি জন্মেছিলেন রাজা দশরথের প্রথম সন্তান হয়ে। তিনি পিতৃসত্য পালনের জন্য বনবাসে যান- সেখানে রামের স্ত্রী সীতাদেবীকে রাক্ষসরাজ রাবন জোড় করে তুলে নিয়ে লংকায় চলে যান। রাম আর তাঁর ভাই লক্ষন দুজনে মিলে পবন পুত্র হনুমান সহ আক্রমন করেন লংকা-আজকের শ্রীলংকা। তারপর অত্যাচারী রাবণকে হত্যা করে রাম সীতা দেবীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন রাম রাজ্যে।
হরে- হরে মানে হরণ করা বা হরণ হওয়া। এটা এসেছে হরণ শব্দ থেকে- যার মানে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া। হরে বা হরণ করা ঈশ্বরকে আবাহন করে বলা হয় যেন তিনি মানুষের মাঝে জড়তা কে -কামনা কে-সকল দুঃখ কে হরন করে নিয়ে যান।
এখন পুরো মন্ত্র টা একবার ঊচ্চারন করলে দেখা যায়-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
কৃষ্ণ মানে চিত্তাকর্ষক - রাম মানে মনোহর
তাহলে হরে কৃষ্ণ মানে চিত্তাকর্ষক চিত্ত হরণ করুন- হরে রাম মানে- মনোহর আমার মন হরন করুন।
আর তাই এই হরে কৃষ্ণ নাম এই কলিযুগের মানুষের জন্য মহা নাম।
ব্রহ্ম নারদ পুরানে বলা হয়েছে-
হরি নাম হরি নাম হরির নামিবা কেবলম
কাল নাস্তি ইভা নাস্তি ইভা নাস্তি ইভা গতি অন্যথা
মানে এই কলিকালে হরিনাম ছাড়া কোন গতি জীবের হতে পারেনা।
এই নাম নিলে আমাদের আত্মা র মাঝে এক পরম শান্তি নেমে আসে- আমাদের মন থেকে দূর হয় সকল কর্ম আকাংখা- মনের মাঝে বিরাজ করে শুধুই কৃষ্ণ।
তাই আসেন আমরা সবাই মিলে ছড়িয়ে দেই এই মহা নাম- বিলিয়ে দিই কৃষ্ণ প্রেম এই পৃথিবীর দিকে দিকে। বন্ধুগন এই পোস্টটিকে সর্বাধিক শেয়ার করুন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Comment
Emoji