মনুষ্য জীবনকে সর্বশ্রেষ্ট বলা হয়





মনুষ্য জীবনকে সর্বশ্রেষ্ট বলা হয়,কারণ এই
শরীর দেহী আত্নাকে সর্বোচ্চ সিদ্ধি
লাভের জন্য খুব সুন্দরভাবে সাহায্য
করতে পারে। প্রহ্লাদ মহারাজ
বলেছেন যে,মনুষ্য শরীর যদিও
ক্ষণস্হায়ী,কিন্তুু তা সত্বেও এই শরীর
আমাদের সর্বোচ্চ সিদ্ধি প্রদান করতে
পারে। নিম্নস্তরের জীবন থেকে
উচ্চস্তরের জীবনে জীবের বিবর্তনের
পন্হায়,মনুষ্য জীবন হচ্ছে এক মহান
আর্শীবাদ। কিন্তু মায়া এতই প্রবল
যে,মনুষ্য শরীর লাভ করার এই মহৎ
আর্শীবাদ প্রাপ্ত হওয়া সত্বেও,আমরা
অনিত্য জড় সুখের দ্বারা প্রভাবিত হই
এবং আমাদের জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য
ভুলে যাই। জীবনের ভয়ঙ্কর এই অবস্হা
থেকে উদ্ধার লাভের একমাত্র উপায়
হচ্ছে,পরমেশ্বরের দিব্যনাম--'হরে কৃষ্ণ
মহামন্র' কীর্তনে এবং শ্রবণে যুক্ত হওয়া।
শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও কার্যকলাপ সম্বন্ধে
বিশেষভাবে আলোচনা করে দুটি গ্রন্হ।
'ভগবদগীতা' হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের প্রদও
উপদেশ এবং 'শ্রীমদ্ভাগবত' হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ
এবং তাঁর ভক্তদের কথা। এই দুটি গ্রন্থ
হচ্ছে,কৃষ্ণকথার বিশেষ অমৃত সম্বলিত
গ্রন্থ। যারা এই দুটি বৈদিক শাস্রের
বাণী প্রচারে যুক্ত,তাদের পক্ষে
মায়া রচিত বদ্ধ জীবন থেকে মুক্ত হওয়া
অত্যন্ত সরল। বদ্ধ জীবের মায়া হচ্ছে
যে,সে তার চিন্ময় স্বরুপ উপলদ্ধি করার
চেষ্টা করে না। সে তার বাহ্য
শরীরের প্রতি অধিক মনোযোগী,যা
হচ্ছে কেবল একটি মাংসপিন্ড এবং
নির্দিষ্ট কালের পর তার পরিসমাপ্তি
হবে। মায়ার প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার
একমাত্র উপায় হচ্ছে কৃষ্ণ কথায় মগ্ন
হওয়া। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এমনই একটি
পন্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন,যাতে
সকলেই তাদের বর্তমান স্হিতির
পরিবর্তন না করে,কৃষ্ণ-তত্ববেত্বা
মহাজনদের শ্রীমুখ থেকে কৃষ্ণকথা শ্রবণ
করে তাদের জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য
সাধন ক তে পারে। আ। সেজন্যই
আমাদের কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ(ইসকন)
প্রতিষ্টিত হয়েছে। আমরা সকলকে
নিমন্রন জানাই তারা যেন আমাদের
সাথে জপ করেন।
প্রচারে: কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ(ইসকন)
হরে কৃষ্ণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ