আসুন জেনে নিই দৈনন্দিন জীবনে পূজার্চ্চনার নিয়ম, পদ্ধতি এবং কিছু গুরুপ্তপূর্ন প্রণাম মন্ত্র

আসুন জেনে নিই দৈনন্দিন জীবনে পূজার্চ্চনার নিয়ম, পদ্ধতি এবং কিছু গুরুপ্তপূর্ন প্রণাম মন্ত্র।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে বিছানায় বসেঃ
১। মহামন্ত্র
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।|
২। বসুমতিকে প্রণামঃ
সমুদ্র মেঘলে দেবী পর্বত নভমণ্ডলে
বিষ্ণুপত্নী নমস্যমি পাদস্পর্শ হ্মমস্বমে।।
প্রিয় দত্তায়ৈ ভুমে নমঃ।
৩। সূর্যকে প্রণামঃ আঙ্গিনায় দাড়িয়ে
জবা কুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্ন্যং প্রনতোহস্মি দিবাকরম।।
৪। তুলসীকে প্রণামঃ
বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
কৃষ্ণভক্তি প্রদেদেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।।
৫। স্নান করার মন্ত্রঃ
গঙ্গেচ যমুনাশ্চৈব গোদাবরী সরস্বতী।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলে হস্মিন সন্নিধিকুরু।।
৬। সমস্ত তীর্থকে আহবানঃ
নমো কুরুহ্মেত্রং গয়া গঙ্গা প্রভাস পুস্করানিচ।
তীর্থেন্যে তানি পুণ্যানি স্নানকালে ভবন্তিহ।।
৭। পবিত্র হওয়ার মন্ত্রঃ
নমো অপবিত্র পবিত্রোবা সর্বাবস্থায় গতোহপিবা।
যদস্মরেত্‍ পুণ্ডরীকাহ্মং সঃ বাহ্যভ্যন্তর শুচিঃ।।
৮। দেহশুদ্ধির মন্ত্রঃ
পাপোহং পাপকর্স্মহং পাপাত্মা পাপ সম্ভবা।
ত্রাহিমা পুণ্ডরীকাহ্মং সর্ব্বোপাপো হরো হরি।।
৯। তুলসী গাছে জল দিবার মন্ত্রঃ
গোবিন্দ বল্লভাং দেবী ভক্ত চৈতন্য কারিনী।
স্নাপযামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী।।
১০। আচমন করার মন্ত্রঃ
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু।
ওঁ তদ্বিষ্ণু পরমং পদং সদাপশ্যান্তি সুরয়। দিবিব চহ্মুরাততম।
১১।তিলক গুলিবার মন্ত্রঃ
নমো কেশবান্ত গোবিন্দ বরাহ পুরুষোত্তম।
পুর্ন্যযাস্যমায়ুরস্য তিলকং মে প্রসাদতু।।
১২। গুরুর প্রণাম মন্ত্রঃ
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ ।
গুরুরেব পরম ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ। ।
এরপর
আহ্ণিক /গুরু বীজমন্ত্র
ঐং শ্রী গুরুবে নমঃ।
১৩। দেব দেবী ও মহাপুরুষের নামঃ (৬৭ জন )
ক) কৃষ্ণায় নমঃ কৃষ্ণায় নমঃ কৃষ্ণায় নমঃ। কার্ত্তবীর্যাজ্জুন শংকরাচার্য মার্কণ্ড মুনি। নমো ভগবতে শিবায় নম। নমো দুর্গায় নমঃ, নমো দুর্গায় নমঃ । ব্রাহ্মণ্যেভ্যা ব্রাহ্মণ্যেভ্যা ব্রাহ্মণ্যেভ্যা। স্বরূপ দামোদর রায় রামানন্দ শিখিমাইতি মাধবীলতা।
খ) কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদভক্তায় নমো নমঃ। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ। জয়রূপ সনাতন ভট্ট রঘুনাথ। শ্রীজীব গোপাল ভট্ট দাস রঘুনাথ। শ্রীবত্‍স চিন্তা তাল বেতাল। কর্কটক ঋতুপর্ণ দময়ন্তি নল। আস্তিক মুনি আস্তিক মুনি আস্তিক মুনি।
গ) যুধিষ্ঠির ভীম অর্জুন নকুল সহদেব। ধ্রুব প্রহল্লাদ নারদ ব্যাসদেব শুকদেব পরীহ্মিত মহারাজ অম্বরীষ মহারাজ। ধরা দ্রোণ রুহিদাস যাজ্ঞসেনী খণ্ডবাসী নরহরি অদ্বৈতাচার্য সীতাদেবী উড়িয়া গৌড়িয়া সেন শিবানন্দ রায় ভবানন্দ। তেত্রিশ কোটি দেবদেবী আশীর্বাদ কর শ্রীকৃষ্ণ পদে যেন শুদ্ধাভক্তি হয় এবং প্রভুর লীলা যেন আরোপে দর্শণ করতে পারি।
১৪। গীতার ১৮ টি নাম ৫১ বার
১। গঙ্গাঁ ২। গীতা ৩। সাবিত্রী ৪। সীতা ৫। সত্যা ৬। পতিব্রতা ৭। ব্রহ্মাবলী ৮। ব্রহ্মাবিদ্যা ৯। ত্রিসন্ধ্যা ১০। মুক্তিগেহিনী ১১। অর্ধমাত্রা ১২। চিতা ১৩। নন্দা ১৪। ভবগ্নী ১৫। ভ্রান্তিনাশিনী ১৬। বেদত্রয়ী ১৭। পরানন্দা ১৮। তত্ত্বার্থজ্ঞানমঞ্ছুরী
১৫। মঘা নহ্মত্র সন্তুষ্টির জন্যঃ
ওঁ শিবায় নমঃ , ওঁ পুলকায় নমঃ, ওঁ নারায়ণ নমঃ
১৬। ১৬ নাম জপঃ
ক। সর্বকাজে শ্রী মাধবায় নমঃ, ওষুধে শ্রী বিষ্ণু, সংকটে শ্রী মধুসূদন, দুঃস্বপ্নে শ্রী গোবিন্দ,
ঘুমানোর সময় শ্রী পদ্মনাভঞ্চ, ভোজনে শ্রী জনার্দন। বিবাহে প্রজাপতি, গমনে বামনদেব
খ। অগ্নি জলসাই, জলে বরাহঞ্চ, কাননে নরসিংহ, প্রবাসে ত্রিবিক্রম, যুদ্ধে চক্রধরদেবং,
মৃত্যুর সময় নারায়ণা, স্ত্রী সহবাসে শ্রীধরায়, পর্বতে প্রভুনন্দন।
১৭। ক) সরস্বতী জপ মন্ত্রঃ
পূজা মন্ত্রঃ ঐং সরস্বত্যে নমঃ ১০৮
নারায়ণং নমোষ্কৃত্ত্যং নরাঞ্চৈবং নরোত্তমং দেবিং ।
সরস্বতী ব্যসং তত জয়েত্‍ মুদি রয়েত্‍ ।।
মূকং করোতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম্ ।
যত্‍কৃপা তমহং বন্দে পরমানন্দমাধবম্ ।।
সরস্বতী দেবী কী জয়ঃ/ প্রণামঃ
ক) নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে।
বিশ্বরূপে বিলালাহ্মী বিদ্রাং দেহি সরস্বতী।।
খ) জয় জয় দেবী চরা চর মাঝে কুচ যুগ শোভিত মুক্তাহারে।
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে ভাগবতী ভারতী দেবী নমোহস্ততে।।
১৮। সংক্রান্তির দিনঃ
ওঁ নমো শ্রী বিষ্ণু ৩০ বার জপ
১৯। পবিত্র বন্ধনের জন্যঃ
১। ওঁ বিষ্ণু , ওঁ বিষ্ণু , ওঁ বিষ্ণু
২। ওঁ শিবায় নমঃ, ওঁ শিবায় নমঃ, ওঁ শিবায় নমঃ।
২০। যজ্ঞের তিলক ধারণঃ মধ্যমিকা আঙ্গুল দিয়ে
২১। উন্নতি জপঃ ৫ বার
শ্রী কৃষ্ণায় বাসুদেবায় । হরয়ে পরমাত্বমেঃ প্রণত ক্লেশ নাশায় ।।
মন্দিরে সহজ প্রার্থনাঃ
২২। শ্রীগুরু কী জয়/ প্রণামঃ
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ ।
গুরুরেব পরম ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ। ।১
২৩। শ্রী বৈষ্ণব কী জয়/ প্রণামঃ
বাঞ্ছাকল্প তরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্যা বৈষ্ণবেভ্যে নমো নমঃ ।।
২৪। শ্রী গৌরাঙ্গ কী জয়/ প্রণামঃ
নমো মহাবদান্যায় কৃষ্ণপ্রেম প্রদায় তে।
কৃষ্ণায় কৃষ্ণচৈতন্যানাম্নে গৌরত্বিষে নমঃ।।
২৫। শ্রীকৃষ্ণ কী জয়/ প্রণাম
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধো জগত্‍পতে।
গোপেশ গোপীকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্ত তে।।
২৬। শ্রীমতি রাধারাণী কী জয়/ প্রণামঃ
তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গী রাধে বৃন্দাবনেশ্বরি।
বৃষভানুসুতে দেবী প্রণামামী হরিপ্রিয়ে।।
২৭। পঞ্চতত্ত্ব কী জয়/ বন্দনাঃ
জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
শ্রী অদ্বৈত গদাধর শ্রী বাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ
২৮। মহামন্ত্র কী জয়/
হরে কূষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
২৯। তুলসী দেবী কী জয়/ প্রণামঃ
বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
কৃষ্ণভক্তি প্রদেদেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।।
৩০। জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা দেবী কি জয়। নৃসংহ দেবতা কি জয়
৩১। শিব কী জয়/ প্রণামঃ
নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয়হেতবে ।
নিবেদয়ামি চাত্নানং ত্বং গতিঃ পরমেশ্বর ।।
মহাদেবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মন্ত্রঃ
করচরণকৃতং বাক্কায়জং কম্মজং বা শ্রবণ নয়নজং বা মানসং বাহপরাধম । বিহিতনবিহিতং বা সর্ব্বমেতং ক্ষমস্ব জয় জয় করুনাদ্ধে শ্রীমহাদেব শম্ভো ।।
৩২। মা দূর্গা কী জয়/ প্রণামঃ
যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা
নমোস্তৈ নমোস্তৈ নমোস্তৈ নমো নমঃ
৩৩। মা কালী কী জয়/ প্রণামঃ
ক) ওঁ সর্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্য ত্রম্বকে গৌরি নারায়াণি নমোস্তুতে।।১
খ) সৃষ্টি স্থিতি বিনাশনম শক্তিভূতে সনাতনী।
গুণাশ্রয়ে গুণাময়ে নারায়াণি নমোস্তুতে।। ২
গ) শরণাগত দীনার্ত পরিত্রাণ পরায়ণে
সর্বস্যার্তি হরে দেবী নারায়াণি নমোস্তুতে।। ৩
৩৪। সিদ্ধিদাতা গণেশ কী জয়ঃ
৩৫। লহ্মী দেবী কী জয়ঃ
৩৬। বাবা কার্তিক কী জয়
৩৭। কুবের ঠাকুর কী জয়/
ওঁ কুবেরায় নমঃ
৩৮। বাবা হনুমান, মা মনসা দেবী কী জয়।
৩৯। বাবা লোকনাথ কী জয়ঃ
জয় বাবা লোকনাথ, জয় মা লোকনাথ, জয় গুরু লোকনাথ, জয় শিব লোকনাথ, জয় ব্রহ্ম লোকনাথ।
হে তেত্রিশ কোটি দেবতা আমাকে আশীর্বাদ করো। সৃষ্টির জীব পরিবারবর্গাবলী বংশাবলী এবং অধমকে কৃপা কর। আমাদের সুখী সমৃদ্ধ দরদী পরিবারে পরিণত কর|
যে কোন সিদ্ধি সাধনের জন্য গীতার শ্লোকঃ
গুরুদেবের নির্দেশে এই ল্লোকগুলো পাঠ করতে হবেঃ (বিদ্রঃ যার যেটা প্রয়োজন সে সেটা পাঠ করবে।)
পাঠবিধিঃ
শুদ্ধভাবে পূর্বমুখী বা উত্তরমুখী হয়ে বসে প্রথমে আচমন এবং আসনাদি শুদ্ধ করবে এরপর গীতা পাঠ করবে।
৪০। যে কোন কাজে সফলতার জন্যঃ শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৯ অধ্যায় ২২ নং শ্লোকঃ
অনন্যাশ্চিন্তয়ন্তো মাং যে জনাঃ পর্য্যুপাসতে ।
তেষাং নিত্যাভিযুক্তানাং যোগহ্মেমং বহামাহম ।। ৯/২২
অর্থঃ অনন্যচিত্ত হয়ে আমার চিন্তা করিতে করিতে যে ভক্তগণ আমার উপাসনা করেন, আমাতে নিত্যযুক্ত সেই সমস্ত ভক্তের যোগ ও হ্মেম আমি বহন করে থাকি। (আমাদের প্রয়োজনীয় অলব্ধ বস্তুর সংস্থান এবং লব্ধ বস্তুর রহ্মণ আমি করে থাকি।)
৪১। শাস্ত্র বিষয়ে বিজ্ঞ এবং অন্তিম মহুর্ত্তে সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য
শ্রীমদ্ভগবত গীতা ১৮ তম অধ্যায় ৭৮ নং শ্লোকঃ
যত্র যোগেশ্বরঃ কৃষ্ণো যত্র পার্থো ধনুর্দ্ধরঃ ।
তত্র শ্রীর্বিজয়ো ভূতির্ধ্রুবা নীতির্মতির্মম ।। ১৮/৭৮
অর্থঃ যে পহ্মে যোগেশ্বর কৃষ্ণ এবং যে স্থলে ধনুর্দ্ধর পার্থ সেই স্থানে বিজয়, রাজলহ্মী উত্তরোত্তর ঐশ্বয্যবৃদ্ধি ও অখণ্ডিত রাজনীতি আছে ইহাই আমার মত।
যুক্তি ও শক্তি মিলিত হইলেই কার্যসফলতা সম্ভবপর। শুধু মাত্র শক্তি ও বুদ্ধি দ্বারা কৃতকার্য হওয়া যায় না।
৪২। ক) সর্বত্র ভগবত প্রাপ্তির জন্য ভগবানকে পাওয়ার জন্য
শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৭ম অধ্যায় ৭ নং শ্লোকঃ
মত্তঃ পরতরং নান্যত্‍ কিঞ্চিদস্তি ধনঞ্জয়।
ময়ি সর্ব্বমিদং প্রোতং সূত্রে মণিগণা ইব।। ৭/৭
অর্থঃ হে ধনঞ্জয়, আমা অপেহ্মা শ্রেষ্ঠ পরমার্থ তত্ত্ব অন্য কিছুই নাই। সূত্রে মণি সমুহের ন্যায় সর্ব্বভূতের অধিষ্ঠানস্বরূপ আমাতে এই সমস্ত জগত্‍ রয়েছে।
৪২। খ) শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৭ম অধ্যায় ১৯ নং শ্লোকঃ
বহূনাং জন্মনামন্তে জ্ঞানবান্মাং প্রপদ্যতে।
বাসুদেবঃ সর্ব্বমিতি স মহাত্মা সুদুর্লভঃ।। ৭/১৯
অর্থঃ জ্ঞানী ভক্ত অনেক জন্মের সাধানাফলে “বাসুদেব সমস্ত ” এইরূপ জ্ঞান লাভ করে আমাকে প্রাপ্ত হন। এইরূপ মহাত্মা অতি দুর্লভ।
৪৩। ক) ভগবত ভক্তির জন্য ঃ শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৯ম অধ্যায় ৩৪ নং শ্লোকঃ
মন্মনা ভব মদ্ভক্তো মদযাজী মাং নমস্কুরু।
মামেবৈষ্যসি যুক্ত্বৈবমাত্মানং মত্‍পরায়ণঃ ।। ৯/৩৪
অর্থঃ তুমি সর্ব্বদা মনকে আমার চিন্তায় নিযুক্ত কর, আমাতে ভক্তিমান হও আমার পূজা কর আমাকেই নমস্কার কর এইরূপে মত্‍পয়ায়ণ হয়ে আমাতে মন সমাহিত করতে পারলে আমাকেই প্রাপ্ত হবে।
৪৩। খ) শ্রীমদ্ভগবত গীতা ১১ তম অধ্যায় ৫৪ নং শ্লোকঃ
ভক্ত্যা ত্বনন্যয়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জ্জুন।
জ্ঞাতুং দ্রষ্টুঞ্চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুঞ্চ পরন্তপ।। ১১/৫৪
অর্থঃ হে পরন্তপ হে অর্জুন কেবল অনন্যা ভক্তি দ্বারাই ঈদৃশ আমাকে স্বরূপতঃ জানতে পারা যায় সাহ্মাত্‍ দেখিতে পারা যায় এবং আমাতে প্রবেশ করতে পারা যায়।
৪৩। গ) শ্রীমদ্ভগবত গীতা ১১ তম অধ্যায় ৫৫ নং শ্লোকঃ
মত্‍কর্ম্মকৃন্মত্‍পরমো মদ্ভক্ত সঙ্গবর্জ্জিতঃ।
নির্ব্বৈরঃ সর্বভূতেষু যঃ স মামেতি পাণ্ডব ।। ৫৫
অর্থঃ হে পাণ্ডব যে ব্যক্তি আমারই কর্মবোধে সমুদয় কর্ম করেন আমি যার একমাত্র গতি যিনি সর্বপ্রকারে আমাকে ভজনা করেন যিনি সমস্ত বিষয়ে আসক্তিশূন্য যার কার উপর শত্রুভাব নাই তিনিই আমাকে প্রাপ্ত হন।
এছাড়া ভগবত ভক্তির জন্য
নিম্ন বর্ণিত আরো শ্লোক পাঠ করা যার ১২ তম ৮ নং শ্লোক, ১৮ তম ৬৬ নং শ্লোক
ভক্তি প্রেম রসঃ চতুর্থ পর্বঃ
৪৪। কোন সমস্যা সমাধানের জন্য
শ্রীমদ্ভগবত গীতা ২য় অধ্যায় ৭ নং শ্লোকঃ
কার্পণ্যদোষাপহতস্বভাবঃ
পৃচ্ছামি ত্বাং ধর্ম্মসংমূঢচেতাঃ ।
যচ্ছ্রেয়ঃ স্যান্নিশ্চিতং ব্রূহি তন্মে
শিশ্যস্তেহহং শাধি মাং ত্বাং প্রপন্নম্ ।। ২/৭
অর্থঃ আমি কর্তব্য স্থির করতে পারছি না। আমি তোমার শিষ্য ও তোমার শরণাপণ্ণ। আমাকে উপদেশ দাও।
৪৫। কোন কথায় সমস্যা সমাধানের জন্য
শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৩য় অধ্যায় ২ নং শ্লোকঃ
ব্যামিশ্রেণেব বাক্যে ন বুদ্ধিং মোহয়সীব মে ।
তদেকং বদ নিশ্চিত্য যেন শ্রেয়োহহমাপ্পুয়াম্ ।। ৩/২
অর্থঃ যা করিলে আমার মঙ্গল হবে, আমাকে সেই বিষয়েই উপদেশ দাও।
৪৬। ভুত প্রেত থেকে মুক্তির জন্য
শ্রীমদ্ভগবত গীতা ১১ তম অধ্যায় ৩৬ নং শ্লোকঃ
স্থানে হৃষীকেশ তব প্রকীর্ত্ত্যা
জগত্‍ প্রহৃষ্যত্যনুরজ্যতে চ
রাহ্মাংসি ভীতানি দিশো র্দ্রবন্তি
সর্ব্বে নমস্যন্তি চ সিদ্ধসঙ্ঘাঃ ।।
অর্থঃ অর্জুন বলিলেন হে হৃষীকেশ, তোমার মাহাত্ম কীর্ত্তনে সমস্ত জগত্‍ যে হৃষ্ট হয়, তোমার প্রতি অনুরক্ত হয় তা যুক্তিযুক্ত। রাহ্মসেরা যে তোমার ভয়ে ভীত হযে
👉 সবাইকে জানার জন্য শেয়ার করুন।
👉 সনাতন ধর্মীয় মূলক পোষ্ট পেতে পেজটিকে লাইক দিয়ে রাখুন।
👉 লাইক করুন এখানে 👉 https://www.facebook.com/sonatondharmo.blogspot/

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ