হিন্দুরা কেন ধর্মান্তরিত হবে না?
-------------------------------------------
যে ধর্মে আমরা সঠিক ভাবে কেউ জানি না ঈশ্বর কে? সে ধর্মে মানুষ কি ভাবে থাকবে?
আমার নিজেরই মাঝে মাঝে কেমন জানি লাগে। কারন কি জানেন?
১ / আমি ছোট বেলায় লোকনাথ বাবার ভক্ত ছিলাম।তখন জানতাম লোকনাথ বাবাই সব।
২ / যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি, তখন এক সৎসঙ্গের এক ঋৃত্বিক দাদা আমাদের বাড়িতে আসে।বাবাকে অনেক বুঝায়, আপনার মেয়েকে সদগুরুর দীক্ষা দিয়ে দেন,দেখবেন পরিক্ষায় প্রথম হবে,ভাল ঘরে বিয়ে হবে, আরো অনেক কিছু বলে আমাকে দীক্ষা দিল।
আমাকে শিখালো কলিযুগে অনুকূল ঠাকুরি সব।যারা অনুকূল ঠাকুরকে না ধরবে,তাদের কোন দিন উন্নতি হবে না।অনুকূল ঠাকুর কৃষ্ণের থেকেও উপরে।তখন থেকেই মনে প্রাণে ইষ্টিভৃতি করা, সকাল সন্ধ্যায় প্রার্থনা করা,জপ করা শুরু করি।খুব ভালই ছিলাম, দেওঘর গিয়েছি কয়েক বার, ঠাকুর পরিবারের সবাইকে দেবতা জ্ঞান করতাম।
৩ / ছোট বেলা থেকেই আমার ধর্ম সম্পর্কে জানার খুব আগ্রহ,সে হেতু একদিন আমি আর আমার বন্ধু মিলে রামকৃষ্ণ মিশনে যাই।সেখানে গেরুয়া পোষাক পড়া এক ব্রহ্মচারীর সাথে কথা হয়।
তার কথা শুনে আমার মাথা গরম হয়ে গেলে।আমাকে বলে তুমি ভুল পথে আছো,অনুকূল তো একজন ভন্ড। তার শালীকে ছলনা করে বিয়ে করেছে।এজন্য মানুষের কাছে মার খেয়েছে।নেশা করতো, সব সময় হুক্কা টানতো।মানুষের কাছ থেকে ইষ্টি ভৃতির কথা বলে টাকা নিয়ে চলে।আরো কত কি যে বললো, আমার সারা শরীরে জ্বালা করতে ছিল।আমার গুরুদেব সম্পর্কে এমন কথা, আমি জীবনে ভাবতেই পারিনি।
শেষে বুঝালো রামকৃষ্ণ মিশন থেকে দীক্ষা নাও,তিনি কলিযুগের যুগাবতার, এটা প্রমাণিত, তাকে ধরলেই তুমি মুক্তি লাভ করবে।
এপর আমি ওখান থেকে চলে আসি, কয়েক দিন খুব খারাপ লেগেছে।
৩ / এর একবছর পরে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর, কেন যেন মনে হল বেদ গীতা সম্পর্কে পড়া লেখা করবো।কিন্তু কোথায় বেদ গীতা সম্পর্কে পড়ায় আমি জানি না।এক বন্ধু বললো,ইসকনরা অনেক প্রচার করে, নিশ্চয় ওদের কাছে গেলে শিখতে পারবি।
তাই একদিন ইসকন মন্দিরে গেলাম।যেয়ে ভালই লাগলো,দেখী সবাই মিলে হরেকৃষ্ণ কীর্তন করতেছে।বেশ কিছুক্ষণ পর এক প্রভুর সাথে পরিচিত হলাম।সে আমাকে কৃষ্ণ সম্পর্কে বুঝাল,গীতা খোলে খোলে দেখাল।আমার মনে হতে লাগলো কৃষ্ণই একমাত্র ঈশ্বর, একমাত্র সৃষ্টি কর্তা। কৃষ্ণের উপরে আর কেউ নেই।ঐ প্রভুটি নিজের টাকা খরচ করে,প্রভুপাদের আত্ম জ্ঞান লাভের পন্থা নামক একটা বই উপহার দিল।
আমি ঐ দিন রাতে ঘুমাতে পারিনি।সারারাত আমার মাথায় শুধু কৃষ্ণ ঘুড়েছে।
পরেদিন থেকে বইটি পড়া শুরু করলাম, অনেক ভাল লাগতে ছিল।আস্তে আস্তে কৃষ্ণকে ভালবেসে ফেললাম।মোটামোটি কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে গেলাম।মালা নিয়ে এখনো হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করি।
৪ / ভার্সিটিতে একশিব ভক্ত দাদার সাথে পরিচয় হল।আমি তাকে বললাম, দাদা আপনি কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে যান,শিবও তো কৃষ্ণ ভক্ত, পরম বৈষ্ণব। সে রেগে মেগে আমাকে বললো তর কৃষ্ণই শিব ভক্ত,পরম শৈব।তার কথা গুলো শুনে অনেক কষ্ট পেয়েছি, আমার চোখে জল এসে গিয়ে ছিল।আমি কান্না করে দিয়েছি।পরে দাদা বলল, থাক তুই তর কৃষ্ণকে নিয়ে থাক আমি আমার শিবকে নিয়ে থাকি।
কিছুদিন পর দাদাটি আমাকে কিছু পেজ দিল, শৈব ধর্ম সম্পর্কিত। দিয়ে বলল এটা পড়।জানতে তো সমস্যা নেই, না মানলি।
এটা পড়ে বুঝলাম, এখানে প্রমাণ করা হয়েছে সদাশিবই সব।মহাদেবের উপরে আর কেউ নেই।বিভিন্ন গ্রন্থের রেফারেন্স রয়েছে,বেদ,উপনিষদ,মহাভারত,শিব পুরান,শিব গীতা।বিষ্ণু,রাম,কৃষ্ণ সবাই শিব ভক্ত।
তখন থেকে আমার শুধু মনে হয়, আমাদের ধর্ম এ রকম কেন?
৫ / এর পর " আমার ধর্ম সনাতন" ব্লকটি চোখে পড়লো। এই ব্লক থেকে আমার মনের অনেক প্রশ্নের উওর পেলাম।মনের সব সংশয় দূর হয়ে গেল।বুঝতে পারলাম শিব,কৃষ্ণ, কালি, ব্রহ্ম একজনই আলাদা কেউ নয়। একজনেরই বিভিন্ন নাম বা বিভিন্ন রুপের প্রকাশ।সাকার, নিরাকার যাকেই উপাসনা করা হোক,এক ঈশ্বরেরই উপসনা করা হয়।
তাহলে আর কোন সমস্যা রইলো না, শিব,কৃষ্ণ, কালি,নিরাকার ব্রহ্ম, যার যেটা ভাল লাগে উপাসনা করুক।শুধু জানুক এগুলো এক ঈশ্বরেই বিভিন্ন নাম বা রুপ।তাহলে হিন্দুদের মধ্যে ঈশ্বর নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না।সকল হিন্দুরা মিলে মিশে থাকতে পারবে।
৬ / কিন্তু বর্তমানে ফেসবুকে হিন্দুদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে কথা কাটাকাটি, তর্ক, বকাঝকা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের বর্তমানে হিন্দুদের মিলে মিশে থাকা উচিত, তা না করে আমরা আরো বিভেদ সৃষ্টি করছি।
আর্য সমাজ নামে নতুন একটা দল দেখলাম ফেসবুকে। আমিতো প্রথমে মনে করেছিলাম, এরা বুঝি মুসলমান। জাকির নায়েক যে কথা গুলো বলতো তারাও দেখি একই কথা বলে।ঈশ্বর শুধুই নিরাকার, তিনি সাকার হতে পারেন না।বেদে মূর্তি পুজা নেই, সকল মূর্তি ভেঙ্গে ফেলবো।কৃষ্ণ একজন মানুষ, যারা কৃষ্ণ ভক্ত তারা মূর্খ। কৃষ্ণকে সাধারণ মানুষ বানানোর যেন তাদের সংঘের প্রচারের মূল কাজ। ইসকন ভন্ড দল, প্রভুপাদকে তারা ডাকে পাদেশ্বর, আবার দেখি ইসকনরাও দয়ানন্দকে ডাকে গাজানন্দ।এসব কি?? এ সব করে কি আমরা সনাতন ধর্মের প্রচার করতে পারবো?। আবার বাংলাদেশের আর্য সমাজের কে যেন সুভাষ শাস্ত্রি, তার যে মুখের ভাষা, তা বলার মত না।তিনি তো হিন্দুদের কুত্তার বাচ্চা ছাড়া কথাই বলেন না।।
৭/ আমাদের এই অবস্থায় সাধারণ হিন্দুদের তার নিজ ধর্মের প্রতি কতটুকু আস্তা থাকবে।যে ধর্মে সে তার সৃষ্টিকর্তাকেই চিনতে পারে না, সেখানে তার ধর্মীয় বিশ্বাস, অনুভূতি কতটুকু কাজ করবে।আর এর পাশে মুসলমানদের মগজধুলাই তো আছে।তা হলে লাভ জিহাদ বা হিন্দুরা ধর্মান্তরিত কেন হবে না?
৮/ এখনো সময় আছে হিন্দুদের এক হওয়ার।মনে রাখতে হবে, হিন্দু স্বার্থে আমরা সকল হিন্দুরা ভাই ভাই।আমরা এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তিনি একজনই।
তিনিই ব্রহ্ম, তিনিই বিষ্ণু, তিনি শিব,তিনিই কৃষ্ণ, তিনিই কালী।আলাদা কেউ নয় একজনই।
আমরা আমাদের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ বেদ গীতায় বিশ্বাসী।
আর শাস্ত্রের উল্লেখ্য ছাড়া কাউকে অবতার,যুগাবতার, পরমপুরুষ, পুরুষোত্তম এব সব বানাতে যাবেন না।
প্রতিটি হিন্দু সংগঠন গুলো মিলে মিশে থাকুন। নিজস্ব মতবাদ বাদ গিয়ে, শুধু বেদ গীতায় যা আছে, তাই প্রচার করুন।নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বন্ধ করুন।আমার কৃষ্ণ ভক্তই সবাইকে হতে হবে,অথবা নিরাকার উপাসকই সবাইকে হতে হবে, এসব একঘুয়ে চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে, কিভাবে মিলে মিশে থাকা যায়, আসুন সে চিন্তা করি।
জয় শ্রীকৃষ্ণ
হরহর মহাদেব
ওঁ পরমাত্মায় নমঃ
" রুপা চক্রবর্তী "
কলকাতা
যে ধর্মে আমরা সঠিক ভাবে কেউ জানি না ঈশ্বর কে? সে ধর্মে মানুষ কি ভাবে থাকবে?
আমার নিজেরই মাঝে মাঝে কেমন জানি লাগে। কারন কি জানেন?
১ / আমি ছোট বেলায় লোকনাথ বাবার ভক্ত ছিলাম।তখন জানতাম লোকনাথ বাবাই সব।
২ / যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি, তখন এক সৎসঙ্গের এক ঋৃত্বিক দাদা আমাদের বাড়িতে আসে।বাবাকে অনেক বুঝায়, আপনার মেয়েকে সদগুরুর দীক্ষা দিয়ে দেন,দেখবেন পরিক্ষায় প্রথম হবে,ভাল ঘরে বিয়ে হবে, আরো অনেক কিছু বলে আমাকে দীক্ষা দিল।
আমাকে শিখালো কলিযুগে অনুকূল ঠাকুরি সব।যারা অনুকূল ঠাকুরকে না ধরবে,তাদের কোন দিন উন্নতি হবে না।অনুকূল ঠাকুর কৃষ্ণের থেকেও উপরে।তখন থেকেই মনে প্রাণে ইষ্টিভৃতি করা, সকাল সন্ধ্যায় প্রার্থনা করা,জপ করা শুরু করি।খুব ভালই ছিলাম, দেওঘর গিয়েছি কয়েক বার, ঠাকুর পরিবারের সবাইকে দেবতা জ্ঞান করতাম।
৩ / ছোট বেলা থেকেই আমার ধর্ম সম্পর্কে জানার খুব আগ্রহ,সে হেতু একদিন আমি আর আমার বন্ধু মিলে রামকৃষ্ণ মিশনে যাই।সেখানে গেরুয়া পোষাক পড়া এক ব্রহ্মচারীর সাথে কথা হয়।
তার কথা শুনে আমার মাথা গরম হয়ে গেলে।আমাকে বলে তুমি ভুল পথে আছো,অনুকূল তো একজন ভন্ড। তার শালীকে ছলনা করে বিয়ে করেছে।এজন্য মানুষের কাছে মার খেয়েছে।নেশা করতো, সব সময় হুক্কা টানতো।মানুষের কাছ থেকে ইষ্টি ভৃতির কথা বলে টাকা নিয়ে চলে।আরো কত কি যে বললো, আমার সারা শরীরে জ্বালা করতে ছিল।আমার গুরুদেব সম্পর্কে এমন কথা, আমি জীবনে ভাবতেই পারিনি।
শেষে বুঝালো রামকৃষ্ণ মিশন থেকে দীক্ষা নাও,তিনি কলিযুগের যুগাবতার, এটা প্রমাণিত, তাকে ধরলেই তুমি মুক্তি লাভ করবে।
এপর আমি ওখান থেকে চলে আসি, কয়েক দিন খুব খারাপ লেগেছে।
৩ / এর একবছর পরে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর, কেন যেন মনে হল বেদ গীতা সম্পর্কে পড়া লেখা করবো।কিন্তু কোথায় বেদ গীতা সম্পর্কে পড়ায় আমি জানি না।এক বন্ধু বললো,ইসকনরা অনেক প্রচার করে, নিশ্চয় ওদের কাছে গেলে শিখতে পারবি।
তাই একদিন ইসকন মন্দিরে গেলাম।যেয়ে ভালই লাগলো,দেখী সবাই মিলে হরেকৃষ্ণ কীর্তন করতেছে।বেশ কিছুক্ষণ পর এক প্রভুর সাথে পরিচিত হলাম।সে আমাকে কৃষ্ণ সম্পর্কে বুঝাল,গীতা খোলে খোলে দেখাল।আমার মনে হতে লাগলো কৃষ্ণই একমাত্র ঈশ্বর, একমাত্র সৃষ্টি কর্তা। কৃষ্ণের উপরে আর কেউ নেই।ঐ প্রভুটি নিজের টাকা খরচ করে,প্রভুপাদের আত্ম জ্ঞান লাভের পন্থা নামক একটা বই উপহার দিল।
আমি ঐ দিন রাতে ঘুমাতে পারিনি।সারারাত আমার মাথায় শুধু কৃষ্ণ ঘুড়েছে।
পরেদিন থেকে বইটি পড়া শুরু করলাম, অনেক ভাল লাগতে ছিল।আস্তে আস্তে কৃষ্ণকে ভালবেসে ফেললাম।মোটামোটি কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে গেলাম।মালা নিয়ে এখনো হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করি।
৪ / ভার্সিটিতে একশিব ভক্ত দাদার সাথে পরিচয় হল।আমি তাকে বললাম, দাদা আপনি কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে যান,শিবও তো কৃষ্ণ ভক্ত, পরম বৈষ্ণব। সে রেগে মেগে আমাকে বললো তর কৃষ্ণই শিব ভক্ত,পরম শৈব।তার কথা গুলো শুনে অনেক কষ্ট পেয়েছি, আমার চোখে জল এসে গিয়ে ছিল।আমি কান্না করে দিয়েছি।পরে দাদা বলল, থাক তুই তর কৃষ্ণকে নিয়ে থাক আমি আমার শিবকে নিয়ে থাকি।
কিছুদিন পর দাদাটি আমাকে কিছু পেজ দিল, শৈব ধর্ম সম্পর্কিত। দিয়ে বলল এটা পড়।জানতে তো সমস্যা নেই, না মানলি।
এটা পড়ে বুঝলাম, এখানে প্রমাণ করা হয়েছে সদাশিবই সব।মহাদেবের উপরে আর কেউ নেই।বিভিন্ন গ্রন্থের রেফারেন্স রয়েছে,বেদ,উপনিষদ,মহাভারত,শিব পুরান,শিব গীতা।বিষ্ণু,রাম,কৃষ্ণ সবাই শিব ভক্ত।
তখন থেকে আমার শুধু মনে হয়, আমাদের ধর্ম এ রকম কেন?
৫ / এর পর " আমার ধর্ম সনাতন" ব্লকটি চোখে পড়লো। এই ব্লক থেকে আমার মনের অনেক প্রশ্নের উওর পেলাম।মনের সব সংশয় দূর হয়ে গেল।বুঝতে পারলাম শিব,কৃষ্ণ, কালি, ব্রহ্ম একজনই আলাদা কেউ নয়। একজনেরই বিভিন্ন নাম বা বিভিন্ন রুপের প্রকাশ।সাকার, নিরাকার যাকেই উপাসনা করা হোক,এক ঈশ্বরেরই উপসনা করা হয়।
তাহলে আর কোন সমস্যা রইলো না, শিব,কৃষ্ণ, কালি,নিরাকার ব্রহ্ম, যার যেটা ভাল লাগে উপাসনা করুক।শুধু জানুক এগুলো এক ঈশ্বরেই বিভিন্ন নাম বা রুপ।তাহলে হিন্দুদের মধ্যে ঈশ্বর নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না।সকল হিন্দুরা মিলে মিশে থাকতে পারবে।
৬ / কিন্তু বর্তমানে ফেসবুকে হিন্দুদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে কথা কাটাকাটি, তর্ক, বকাঝকা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের বর্তমানে হিন্দুদের মিলে মিশে থাকা উচিত, তা না করে আমরা আরো বিভেদ সৃষ্টি করছি।
আর্য সমাজ নামে নতুন একটা দল দেখলাম ফেসবুকে। আমিতো প্রথমে মনে করেছিলাম, এরা বুঝি মুসলমান। জাকির নায়েক যে কথা গুলো বলতো তারাও দেখি একই কথা বলে।ঈশ্বর শুধুই নিরাকার, তিনি সাকার হতে পারেন না।বেদে মূর্তি পুজা নেই, সকল মূর্তি ভেঙ্গে ফেলবো।কৃষ্ণ একজন মানুষ, যারা কৃষ্ণ ভক্ত তারা মূর্খ। কৃষ্ণকে সাধারণ মানুষ বানানোর যেন তাদের সংঘের প্রচারের মূল কাজ। ইসকন ভন্ড দল, প্রভুপাদকে তারা ডাকে পাদেশ্বর, আবার দেখি ইসকনরাও দয়ানন্দকে ডাকে গাজানন্দ।এসব কি?? এ সব করে কি আমরা সনাতন ধর্মের প্রচার করতে পারবো?। আবার বাংলাদেশের আর্য সমাজের কে যেন সুভাষ শাস্ত্রি, তার যে মুখের ভাষা, তা বলার মত না।তিনি তো হিন্দুদের কুত্তার বাচ্চা ছাড়া কথাই বলেন না।।
৭/ আমাদের এই অবস্থায় সাধারণ হিন্দুদের তার নিজ ধর্মের প্রতি কতটুকু আস্তা থাকবে।যে ধর্মে সে তার সৃষ্টিকর্তাকেই চিনতে পারে না, সেখানে তার ধর্মীয় বিশ্বাস, অনুভূতি কতটুকু কাজ করবে।আর এর পাশে মুসলমানদের মগজধুলাই তো আছে।তা হলে লাভ জিহাদ বা হিন্দুরা ধর্মান্তরিত কেন হবে না?
৮/ এখনো সময় আছে হিন্দুদের এক হওয়ার।মনে রাখতে হবে, হিন্দু স্বার্থে আমরা সকল হিন্দুরা ভাই ভাই।আমরা এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তিনি একজনই।
তিনিই ব্রহ্ম, তিনিই বিষ্ণু, তিনি শিব,তিনিই কৃষ্ণ, তিনিই কালী।আলাদা কেউ নয় একজনই।
আমরা আমাদের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ বেদ গীতায় বিশ্বাসী।
আর শাস্ত্রের উল্লেখ্য ছাড়া কাউকে অবতার,যুগাবতার, পরমপুরুষ, পুরুষোত্তম এব সব বানাতে যাবেন না।
প্রতিটি হিন্দু সংগঠন গুলো মিলে মিশে থাকুন। নিজস্ব মতবাদ বাদ গিয়ে, শুধু বেদ গীতায় যা আছে, তাই প্রচার করুন।নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বন্ধ করুন।আমার কৃষ্ণ ভক্তই সবাইকে হতে হবে,অথবা নিরাকার উপাসকই সবাইকে হতে হবে, এসব একঘুয়ে চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে, কিভাবে মিলে মিশে থাকা যায়, আসুন সে চিন্তা করি।
জয় শ্রীকৃষ্ণ
হরহর মহাদেব
ওঁ পরমাত্মায় নমঃ
" রুপা চক্রবর্তী "
কলকাতা
https://www.facebook.com/sonatondharmo.blogspot/posts/1639344646112844
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for Comment
Emoji